রুদ্রাক্ষ ফুল Elaeocarpaceae পরিবারের সদস্য। এর বৈজ্ঞানিক নাম Elaeocarpus ganitrus। রুদ্রাক্ষ গাছ দেখতে কিছুটা বকুল বা জলপাই গাছের মতো। পরিপক্ক গাছের শেকড়ে ঝাউ-শিমুল-বুদ্ধনারিকেল গাছের মতো অধিমূল দেখা যায়। গাছের ফল দেখতে গাঢ় নীল রঙের। যে কারণে এর ইংরেজি নাম বলয়ে marble তরী বা বলয়ে berry beads।
রুদ্রাক্ষ একপ্রকার বৃহৎ ও চওড়া পাতাওয়ালা চিরহরিৎ বৃক্ষ। এই গাছ Elaeocarpus গণভুক্ত; এর অনেক প্রজাতি রয়েছে যার মধ্যে E. ganitrus প্রজাতিটি প্রধানত ধর্মীয় ‘মালা’ তৈরির কাজে লাগে। রুদ্রাক্ষ শব্দটি সংস্কৃত ভাষার, যার অর্থ রুদ্রের চোখ।
চওড়া পাতাওয়ালা চিরসবুজ বৃক্ষ, জলপাই বা বকুলের মতো ফুলের কুঁড়ি হয় থোকায় থোকায়, নতমুখে থাকে কুঁড়ি ও ফুল। ফুলের রং হালকা ঘিয়া-সাদা, ফুল দেখতে অনেকটা জলপাই ফুলের মতো। পরিণত বা গাছ বড় হলে তার গোড়ায় শিমুলগাছের মতো অধিমূল জন্মে। ফল দেখতে গাঢ় নীল রঙের, এ জন্য এর ইংরেজি নাম ব্লুবেরি বিডস। উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Elaeocarpus granitrus, পরিবার ইলিওকার্পেসি। ফলের খোসা ছাড়ালে পাওয়া যায় বরইয়ের বীজের মতো বহুমুখী অমসৃণ শক্ত বীজ বা রুদ্রাক্ষ গোটা। বীজ একসঙ্গে জোড়া থাকায় তা এক মিথের জন্ম দিয়েছে। ফল খাওয়া যায়, স্বাদে টক বলে নেপালের মানুষ এ থেকে আচার তৈরি করেন। বীজ থেকে চারা হয়। প্রাচীনকালে বসন্ত গুটির ওপর এর প্রলেপ দেওয়া হতো।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ার জাভা, সুমাত্রা ও বোর্নিও দ্বীপে এবং নেপালের ভোজপুর জেলায়। ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তর কাশী, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী ইত্যাদি এলাকার হিমালয়ের জঙ্গলে এ গাছ দেখা যায়।