মিষ্টি কালারের রঙ্গন ফুল বাগানের অতি পরিচিত একটি ফুলের নাম। এটি একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। ঘন সবুজ রঙ্গন গাছে মিষ্টি কালার, লাল, গোলাপী, হলুদ, কমলা ও সাদা রংয়ের ফুল দেখা যায়। শহর বা গ্রামে প্রায় সবার কাছেই এই ফুল পরিচিত। শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে রঙ্গন সহজেই বাগান প্রেমিকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
রঙ্গন এর আরেক নাম রুক্সিনী। এর ইংরেজি নাম Jungle geranium, Flame of the woods, Jungle flame। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ixora coccinea। রঙ্গন তিন থেকে ছয় মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। ফুল আকারে ছোট, নলাকৃতি। গাছের আকৃতি ঝোপালো, শাখা-প্রশাখা ছড়ানো, পাতা সবুজ। বাগানের শোভা বর্ধনে রঙ্গন ফুল ও গাছের ভূমিকা অতুলনীয়।
রঙ্গন ঘন চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। ঘন সবুজ রঙ্গন গাছে লাল, গোলাপী, হলুদ, কমলা ও সাদা রংয়ের ফুল দেখা যায়। শহর বা গ্রামে প্রায় সবার কাছেই এই ফুল পরিচিত। শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে রঙ্গন সহজেই বাগান প্রেমিকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায় রঙ্গন ফুল। শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে রঙ্গন অতি জনপ্রিয়। আকর্ষণীয় রূপ ও বর্ণের বৈচিত্র্যে রঙ্গন ঐশ্বর্যমণ্ডিত। তরুরাজ্যে প্রায় সারাবছরই সবুজ পাতার ফাঁকে রঙ্গনের প্রস্ফুটন মানুষ প্রাণভরে উপভোগ করে। ঘন চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় রঙ্গন উদ্ভিদ তিন থেকে ছয় মিটার পর্যনত্ম উঁচু হয়। মঞ্জুরিপত্র বিশিষ্ট গাঢ় লালবর্ণের পুষ্প-মঞ্জুরিতে থাকে অসংখ্য পুষ্পের সমাবেশ।
পর্যায়ক্রমে থোকা থোকা মিষ্টি কালার, লাল কমলা ফুলের প্রস্ফুটনের প্রাচুর্যে ও সমারোহে এক অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে রঙ্গন। পাতার ঘন বিন্যাস অপূর্ব। পাতা সরল ও প্রতিমুখ বা আবর্ত, কিনারা অখ-, উপপত্র দুটি বৃনত্মের মাঝে অবস্থিত। ফুল নলাকৃতি, তারার মতো চারটি পাপড়ির বিন্যাস সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
ফুলের সৌন্দর্য সহজেই সকলের নজর কাড়ে। রঙ্গন গাছে সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে থোকা থোকা ফুল ফোটে। কিন্তু কোন কোন জাতের রঙ্গন বসন্তেও ফোটে। এর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হল এর স্থায়িত্ব। অন্যান্য ফুলের তুলনায় এ ফুল দীর্ঘস্থায়ী।
রঙ্গন খুব কষ্টসহিষ্ণু গাছ। এ গাছের পরিচর্যা কম করা লাগে। পানি ও তুলনামুলক অনেক কম লাগে। যারা ছাদ বাগান করেন তারা ছাদে দুই একটা রঙ্গন গাছের টব রাখতে পারেন। এতে ছাদের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়। এর চাষ পদ্ধতিও সহজ। ফুল ফোটা শেষ হয়ে গেলে রঙ্গন গাছ ছেটে দেওয়া ভালো।