ফরমোসা বাগানবিলাস Formosa Bougainvillea অসাধারণ সুন্দর একটা ফুল। ফরমোসা বাগানবিলাস সুন্দর ভ্যারাইটির অন্যতম। হালকা সাদাটে গোলাপি কালারের মোহনীয় রূপ যেকারো মন কেড়ে নিবে। এক অসাধারণ অনুভূতি ।
লাইলাক , এইচবি সিং ও ফরমোসা এই তিন প্রজাতির বাগানবিলাসের ফুল দেখতে অনেকটা একই রকম কিন্তু সুক্ষ একটু তফাৎ আছে এইচবি সিং ও ফরমোসা ফুল একই রকম কালার শুধু ফরমোসার ফুলের পাপড়ি দেখলে মনে হবে ছোট ছোট ফোস্কা পরে ফুলে আছে আর এইচবি সিংএর ফুলগুলোর পাপড়ি সমান থাকবে। আর লাইলাকের ফুলের কালার আরো একটু ফ্যাকাসে গোলাপি হবে।
বাগানবিলাস আমাদের দেশি ফুল নয়। কিন্তু এর নাম শুনে বিদেশি ফুল ভাববার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাংলার সীমারেখার বাইরে বোগেনভিলিয়া নামে পরিচিত । কেউ কেউ ভালোবেসে এটিকে বাগান বিলাস বা কাগজ ফুল নামেও ডেকে থাকেন। আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল, পেরু ও আর্জেন্টিনা হলেও সারা বিশ্বজুড়েই তার বিচরণ।ফুল ফুটলে যেন রঙিন হয়ে ওঠে বুগেনভিলিয়া।
Bougainvillea নামটি এসেছে ফুলের বৈজ্ঞানীক নাম Bougainvillea spectabilis থেকে। আর Bougainvillea spectabilis নামটি এসেছে ফুলের আবিস্কারক “লুই অটোইন ডি বোগেনভিলিয়া” এর নাম অনুসারে। বাগানবিলাস শহর-বন্দরে, বাসা-বাড়ির মেইন গেইট, বারান্দা কিংবা ছাদ থেকে হাজারো মনকাড়া রঙের ফুলের আলোকোজ্জ্বলতায় রাঙিয়ে রাখে পুরো বাড়ি। রঙিন কাগজের মতো বাগানবিলাসের অসংখ্য রঙ মাতিয়ে তোলে অলিগলির লুটোপুটি খাওয়া শ্রান্ত ধুলিকণাদের। মাত্র একটি গাছ-ই পুরো গেইট জুড়ে একটি বাগান তৈরি করে রঙ-বেরঙের ফুলের দৃষ্টিনন্দন পশরা সাজিয়ে বাড়ির সামনে এমনভাবে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে, যেন অভ্যর্থনা জানাতে অতিথিদের অপেক্ষায়।
ভারত উপমহাদেশে যখন এই ফুল প্রথম আসে তখন এই ফুলটি শুধু অভিজাত শ্রেণির লোকেদের বাড়িতেই শোভা পেতো এবং তাঁদের মাঝে ফুলটি বোগেনভিলিয়া নামেই পরিচিত ছিলো। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক বিলাসী ও অভিজাত লোকের বাড়িতে এই ফুল দেখে, ফুলের রূপ ও রঙে মুগ্ধ হলেও, ফুলের বোগেনভিলিয়া নামটি কবির মনে ধরেনি। তাই তিনি তাঁর কবি মনের মাধুরী মিশিয়ে এর নাম দেন ‘বাগানবিলাস’। আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়ির গেইটে থাকার কারণে অনেকই এই ফুলকে ‘গেইট ফুল’ও বলে।