লাল মুসান্ডা বা নাগবল্লী বৈজ্ঞানিক নাম: Mussaenda frondosa রুবিয়েসি Rubiaceae পরিবারের মুসেন্ডা গণের লাল ও সাদা রঙের একটি আলস্কারিক গুল্ম। মুসান্ডাকে অনেক মৌসন্ধ্যা নামে ডাকেন।এই উদ্ভিদ ৩ থেকে ৫ মিটার লম্বা হয়। রোদ বা আংশিক ছায়ায় এ গাছ তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে। সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষায় এ ফুল ফোটে। নাগবল্লী বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রজাতির এক বুনোফুল। তবে ধারণা করা হয়, এর আদি নিবাস আফ্রিকায়। এদের দেশীয়করণ হয়েছে নেপাল, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন জায়গায়।
সাধারণত ঝোপের ভেতর ছোট আকৃতির এ চিরসবুজ গাছ দেখা যায়। সাধারণত এটি দুই-তিন ফুট উঁচু হয়। এর পাতার রঙ উজ্জ্বল সবুজ, এ পাতার উপর আবার সাদা সাদা পাতা রয়েছে আর থাকে প্রায় চার সেন্টিমিটার লম্বা একটি হলুদ রঙের ফুল। এক ঝোপে থাকে অনেক কয়েকটি ফুল।
উদ্ভিদের পাতা উপবৃত্তাকার থেকে ডিম্বাকার, ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হতে পারে। ফুল ছোট, কমলা থেকে হলুদ কমলা রঙের; ফুল নলাকার; পাপড়ি ছোট সোনালি হলুদ, দেখতে তারার মতো। পুষ্পবিন্যাস করিম্ব। পাপড়ির মতো দেখতে বৃত্যংশ পাঁচটি সাদা, ডিম্বাকার; ৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
বাগানের শোভা বর্ধনকারী হিসাবে পরিচিত এ উদ্ভিদ। এছাড়া বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রেও এর উল্লেখ দেখা যায় । জন্ডিস, আমাশয়, পেটব্যথা ও ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসার জন্য এই উদ্ভিদকে ওষুধ হিসেবে পছন্দ করা হয়। এর পাতার নির্যাসে আলসারবিরোধী উপাদান রয়েছে।