স্ট্রবেরি পেয়ারা দেখতে দেশি পেয়ার মতোই। তবে আকারে অনেক ছোট। এই পেয়ারার রং খুবই আকর্ষনীয়। স্ট্রবেরির মতো লাল, হলুদ ও পার্পেল কালারের হয়ে থাকে। এই পেয়ারা প্রচুর পরিমাণে ধরে। এটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি সুস্বাদু। স্ট্রবেরি পেয়ারা ছাদ বাগানের জন্য ও উপযোগী। এই পেয়ারার গাছ ২-৬ মিটার পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে।
পুষ্টি গুণ:
স্ট্রবেরি পেয়ারার প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া স্ট্রবেরি পেয়ারায় রয়েছে পলিফেনল, যা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে থাকে ।
টব বা ড্রামে স্ট্রবেরি পেয়ারার চাষ পদ্ধতি:
স্ট্রবেরি পেয়ারার জন্য বেলে দো-আঁশ মাটি সর্বোত্তম। প্রথমে ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটির সাথে ২ ভাগ পঁচা গোবর/ ভার্মি কম্পোস্ট, ১ ভাগ কৈকোপিট, ১ কেজি খৈল, ১ কেজি হাড় কুচি, ৪০-৫০ গ্রাম টিএসপি সার এবং ৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার দিয়ে ড্রাম বা টবে ভরে ২০-২৫ দিন রেখে দিতে হবে। ৪-৫ দিন পর পর হালকা পানি দিয়ে মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার এভাবেই রেখে দিতে হবে । ২০-২৫ দিন পর একটি সবল সুস্থ চারা সেই টবে/ ড্রামে রোপণ করতে হবে।
বংশবিস্তার:
বীজ বা কলমের মাধ্যমে স্ট্রবেরি পেয়ারার বংশবৃদ্ধি করা যায়। বীজ থেকে গজানো চারা ব্যবহার করলে ফলের গুণগতমান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত হয়। স্ট্রবেরি পেয়ারা গাছে পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রয়োজন।
সার প্রয়োগ:
প্রতিমাসে ১ মুঠো সরিষার খৈল ১ চা চামচ ইউরিয়া ২ চামচ হাড় গুড়ো এবং ১ চামচ পটাশ ভাল করে মিশিয়ে টবে প্রয়োগ করুন। এতেই আপনার শখের পেয়ারা সুন্দর করে বেড়ে উঠবে। তবে ফুল এলে খৈল ও ইউরিয়া প্রয়োগ করা যাবে না।
গাছে যদি প্রচুর ফল আনতে চান তাহলে জিঙ্ক এবং বোরোন মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে গাছে স্প্রে করতে হবে।