লক্ষ্মণ ফল বা টক আতা ফল করোসল ফল হিসেবে জানা যায়। এটি সপুষ্পক উদ্ভিদ বা চিরসবুজ গাছ। করোসল, যার ইংরেজি নাম এবং বৈজ্ঞানিক নাম , একটি সবুজ কাঁটাযুক্ত ট্রপিক্যাল ফল। এর ভিতরে থাকে সফেদ, সরস ও মিষ্টি-টক স্বাদের শাঁস, যা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী।
ক্যারাসল এ প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে।এর এন্টিব্যাকটেরিয়াল সক্ষমতার জন্যে এর থেকে তৈরি তেলকে ব্রণ ও ফোঁড়া প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। এই তেল প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যেমন ফ্ল্যাভোনয়েডোস, পলিফেনল ও স্যাপনিন্স। এরা এন্টি এজিং প্রতিরোধে সহায়তা করে।করোসল তেল শিষ ও ফাটা ত্বকে লোশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও একজিমা ও সোরিয়াসিস উপসর্গে এটি অত্যন্ত কার্যকরী। এই তেল সামাদের ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করা সম্ভব। এই তেল খুব হালকা ও সুগন্ধযুক্ত। করোসল অন্যান্য ঔষধি ফলের মতো তীব্র ও কটূ গন্ধযুক্ত। এর কাঁটাযুক্ত বহিরাবরণ খাওয়ার অনুপযোগী।
চামড়া তুলে ফেলে এর ভেতরের অংশ চামচ দিয়ে তুলে খাওয়া যায়। তরমুজের মতো বীজ ফেলে দিয়ে খেতে হয়। এছাড়াও ফলের বীজ খুব বিষাক্ত। এর বীজ খুব দামী, ফেলে না দিয়ে নতুন চারা তৈরি করতে পারেন।
করোসলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
- ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে
করোসলে রয়েছে ভিটামিন সি ও নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। - ক্যান্সার প্রতিরোধে সম্ভাব্য ভূমিকা
গবেষণায় দেখা গেছে করোসলের নির্যাস কিছু ধরনের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। - ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। - ঘুমের সমস্যা দূর করে
প্রাকৃতিক সেডেটিভ উপাদান থাকায় করোসল রাতে ঘুম ভালো করতে সাহায্য করে। - হজমে সহায়ক
ফাইবার সমৃদ্ধ করোসল হজম ভালো রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
করোসল কীভাবে খাওয়া যায়?
- কাঁচা ফলের শাঁস খাওয়া যায় সরাসরি।
- জুস, স্মুদি, আইসক্রিম, জ্যাম বা শরবত বানিয়ে খাওয়া যায়।
- শুকনো পাতাও অনেক সময় চায়ের মতো পান করা হয়।
আমাদের করোসল পণ্যের বৈশিষ্ট্য
✅ ১০০% টাটকা ও অর্গানিক
✅ কোনো প্রিজারভেটিভ বা কেমিক্যাল নেই
✅ দেশি কৃষকের যত্নে উৎপাদিত
✅ হোম ডেলিভারি সার্ভিস সুবিধা